ফাতওয়া নং—৫৮৬৫
প্রশ্ন: মাজারে থাকা লোকদেরকে খাওয়ানোর জন্য অনেকে মাজারে গরু-ছাগল নিয়ে আসে। মাজারেই এসব পশু জবাই করে খানার ব্যবস্থা করা হয়। এই খানা খাওয়া হালাল হবে কি না?
উত্তর: মাজারভক্ত লোকেরা সাধারণত অনেক শিরকী ও কুফরী আকীদা বিশ্বাস লালন করে মাজারে পশু নিয়ে আসে বা দান করে। তাই মাজারে তৈরী খাবার খাওয়া ঠিক নয়। তবে কোনো খাবারের ব্যাপারে যদি জানা যায় যে, খাবার প্রস্তুতকারী খাদ্য দ্রব্যের মালিক, জবাইকৃত পশু ও অন্যান্য উপাদানের মধ্যে কোনোরূপ শিরকী-কুফরী এবং ভ্রান্ত আকীদা-বিশ্বাস বা ধ্যান-ধারণার সংমিশ্রণ নেই, তাহলে সে খাবার খাওয়া যাবে। কিন্তু এসব বিষয় জানা যেহেতু অনেকটা অসম্ভব, সেহেতু মাজারের সব ধরণের খাবার থেকে বিরত থাকা জরুরী।
প্রমাণ: ফাতাওয়া শামী: ৬/৩০৯ ও ২/৪৩৯ সাঈদ কোম্পানী; ৯/৫১৫ ও ৩/৪৯১ আশরাফিয়া;
وفي الدر المختار: (ذبح لقدوم الأمير) ونحوه كواحد من العظماء (يحرم) لأنه أهل لغير الله. ৯:৫১৫ كتاب الحضر والاباحة.
وفى موضع أخر: واعلم أن النذور الذى يقع للاموات من أكثر العوام وما يؤخذ من الدراهم والشمع والزيت ونحوها إلى ضرائع الأولياء الكرام … ما لم يقصدوا صرفها لفقراء الأنام ৩:৪৯১: كتاب الصوم. المكتبة الاشرفية.
আরও দেখুন: সূরা মায়েদা: ৩; হিদায়া: ১/২৯২ থানভী; আল—বাহরুর রায়িক: ২/৫২১ থানভী; তাহতাভী: ১/৪৭১ রশীদিয়া; ফাতাওয়া হাক্কানিয়া: ১/১৮৪ দারুল উলূম হাক্কানিয়া।