‘আল্লাহ আল্লাহ’শব্দে যিকির করার বিধান

by | Aug 31, 2024 | Fatwa Bank, Fiqh | 0 comments

প্রশ্ন: জনৈক সালাফী আলেম এক বয়ানে বলেছেন, আমাদের দেশের কিছু সূফী শুধু ‘আল্লাহ আল্লাহ’ যিকির করে থাকেন। তাদের মুরিদদেরকেও এর তালীম দিয়ে থাকেন। অথচ নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবায়ে কিরাম, তাবেয়ী, কারো থেকেই এরূপ আমল প্রমাণিত নয়। সুতরাং এটি বিদ‘আত, যা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। এ ব্যাপারে সঠিক সমাধান জানালে কৃতজ্ঞ হবো।

উত্তর:  কুরআনে কারীমের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তার নামের যিকির করতে আদেশ করেছেন। আর ‘আল্লাহ’ শব্দটি তার সত্ত্বাগত একমাত্র নাম। তাই আল্লাহ পাকের নাম ‘আল্লাহ আল্লাহ’ যিকির করা শুধু বৈধই নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাতও বটে। যার দ্বারা আল্লাহ পাকের অস্তিত্ত্ব ও তাঁর সত্ত্বার স্মরণ যিকিরকারীর অন্তরে গেথে যায় এবং তা ভালোভাবে অন্তরে বসে যায়। অপরদিকে এক হাদীসে বলা হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত জমিনে ‘আল্লাহ আল্লাহ’ শব্দের যিকির করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামত কায়েম করবেন না। অন্য হাদীসে আছে, যতক্ষণ পর্যন্ত জমিনে ‘আল্লাহ আল্লাহ’ বলনেওয়ালা একজন ব্যক্তি বাকি থাকবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামত কায়েম করবেন না। এ হাদীসসমূহ দ্বারাও বুঝা যায়, ‘আল্লাহ’ শব্দের যিকির এমন গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যার মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবী টিকে আছে। এরপরও যারা ‘আল্লাহ আল্লাহ’ শব্দের যিকির করাকে বিদ‘আত বলে, তাদের কথাটি কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে সঠিক নয়; বরং আল্লাহর বান্দাদেরকে আল্লাহর যিকির থেকে বাধা দেওয়ার নামান্তর।

             প্রমাণ: ফাতহুল মুলহিম: ১/১৭৯

فى فتح الملهم: تحت قوله: على أحد يقول الله الله … قلت وفى تكرير الاسم إشارة إلى مشروعية ذكر الله عز وجل باسمه المفرد والرد على من زعم نفي كونه مشروعا ومحمودا كحافظ ابن تيمية فى فتاواه … وقال على القاري فى المرقاة: ومن هذا الحديث يعرف أن بقاء العالم ببركة العلماء العاملين والعباد الصالحين وعموم المؤمنين وهو المراد بما قاله الطيبى معنى حتى لا يقال حتى لا يذكر اسم الله ولا يعبد، . الى ان قال.

وقال المظهري هذا دليل على بركة العلماء والصلحاء تصل إلى من في العالم من الجن والإنس وغيرهما من الحيوانات والجمادات والنباتات وعلى أن ذكر الله عز وجل كأنه روح هذا العالم وبه قيامه وبقائه. ১:১৭৯ المكتبة الأشرافية. 

আরও দেখুন: সূরা দাহর: ২৫; সূরা মুযাম্মিল: ৮; সূরা আ‘লা: ১৫; সূরা নূর: ৩৬; সূরা হজ্জ: ৪০; তাফসীরে মাযহারী: ১০/২৪৭ মাকতাবা রশীদিয়া; সহীহ মুসলিম শরীফ: ১/৮৪ আশরাফিয়া; মিশকাতুল মাসাবীহ: ৪৮০ আশরাফিয়া;  ফাতাওয়া কাসেমিয়া:  ৪/৫৭০ আশরাফী।